OrdinaryITPostAd

বেডসোর (Pressure Ulcers বা Bedsores)


বেডসোর (Pressure Ulcers বা Bedsores) 

বেডসোর হল ত্বকে ক্ষত বা চর্ম ক্ষত।দীর্ঘ সময় ধরে এক জায়গায় চাপ পড়ে থাকার কারণে হয়।এটি সাধারণত শয্যাশায়ী রোগী বা দীর্ঘ সময় বিছানায় শোয়া মানুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়,যাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে তাপ,আর্দ্রতা এবং চাপের কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
                                     
এ ধরনের ক্ষতগুলো সাধারণত শরীরের যে অংশে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে পিঠ, পেছনে, হাঁটু, গোড়ালি এবং কাঁধে হতে দেখা যায়। 

  • বেডসোরের কারণ

  • বেডসোরের লক্ষণ

  • বেডসোরের চিকিৎসা 

  • বেডসোর প্রতিরোধ

বেডসোর সাধারণত দীর্ঘ সময় এক জায়গায় শুয়ে থাকার কারণে হয়, কিন্তু এর পেছনে আরও কিছু কারণও রয়েছে: 

চাপ : এক জায়গায় দীর্ঘ সময় চাপ পড়লে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায় এবং ত্বকে আঘাত আসে। 

শরীরের আর্দ্রতা: দীর্ঘ সময় ভেজা অবস্থায় থাকা, যেমন শয্যাশায়ী অবস্থায় অতিরিক্ত ঘাম বা প্রস্রাব হওয়া, ত্বককে আরও দুর্বল করে দেয়।

ঘষা: রোগী যখন বিছানার উপরে বা অন্য কোন স্থানে বারবার গড়াতে থাকে, তখন ত্বক ঘষা খেয়ে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। 

কমপ্লাইন্সের অভাব: রোগী যদি যথাযথভাবে অবস্থান পরিবর্তন না করে, তাহলে তাদের ত্বকে চাপ জমে এবং ত্বক নষ্ট হতে শুরু করে। 

বেডসোরের লক্ষণ

বেডসোরের লক্ষণ শুরুতে সূক্ষ্ম হতে পারে, তবে যদি উপযুক্ত চিকিৎসা না করা হয়, তবে তা দ্রুত খারাপ হতে পারে। সাধারণত বেডসোরের প্রথম লক্ষণগুলো হলো:


ত্বকে লাল বা কালচে দাগ (যা চাপ বা ঘর্ষণের কারণে হতে পারে) ত্বক ফুলে যাওয়া ত্বক শুষ্ক ও ফাটা সোর বা ক্ষত তৈরি হওয়া ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূতি।

বেডসোরের চিকিৎসা 

বেডসোরের চিকিৎসা প্রথমেই নির্ভর করে এর গুরুত্ব ও পর্যায় অনুসারে। তবে, সাধারণত চিকিৎসা ব্যবস্থায় কিছু পদক্ষেপ রয়েছে, যেগুলি বেডসোরের থেকে রক্ষা পেতে এবং সেগুলি সুস্থ করতে সহায়ক,

প্রথমে চাপ মুক্ত করা:

রোগীকে নিয়মিতভাবে অবস্থান পরিবর্তন করতে বলা হয়, যাতে শরীরের এক জায়গায় চাপ না পড়ে। এক জায়গায় দীর্ঘ সময় শোয়া থেকে বাঁচতে প্রতি 2-3 ঘণ্টা পর পর অবস্থান পরিবর্তন করা জরুরি।

যথাযথ পরিচর্যা:

ত্বকের ক্ষতগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে এবং বিশেষ ধরনের অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা লোশন প্রয়োগ করা উচিত। 

পুষ্টির উন্নতি:

শরীরের ত্বক ও হাড় সুস্থ রাখতে সঠিক পুষ্টি যেমন প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।উপযুক্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে খাবার এবং ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। 

বিশেষ প্যাড বা বালিশ ব্যবহার:

বিশেষ ধরনের প্যাড, বালিশ বা ম্যাট্রেস ব্যবহার করতে পারেন যা চাপ কমায় এবং সঠিক অবস্থানে শরীর রাখে।Air Bubble mattress ব্যবহার করতে হবে। 

এন্টিবায়োটিক বা মেডিকেশন:

যদি বেডসোরটি সংক্রমিত হয়ে থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা হতে পারে।

বেডসোর প্রতিরোধ:

বেডসোরের প্রতিরোধের জন্য কিছু সহজ কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়: নিয়মিত ২বেলা অ্যান্টিসেপটিক দাড়া উক্ত জায়গা পরিস্কারের পর ড্রায় রাখার জন্য নেবানল পাওডার ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত রোগীকে প্রতি 2-3 ঘণ্টা পর পর শুয়ে থাকা অবস্থান পরিবর্তন করতে সাহায্য করুন।একটি আরামদায়ক এবং চাপ কমানোর জন্য উপযুক্ত ম্যাট্রেস বা বালিশ ব্যবহার করুন। ত্বককে পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই নিয়মিত স্নান বা পরিষ্কার করা উচিত।শরীরের ত্বক শুষ্ক রাখতে হবে এবং অতিরিক্ত ঘাম বা আর্দ্রতা এড়াতে হবে। পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার প্রোটিন, ভিটামিন C এবং Zinc যুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক এবং শরীরের সুস্থতা বাড়ানো যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url